আয়কর ২০২৫-২৬: নতুন পরিবর্তন ও প্রভাব - taxhishab.com
taxhishab.com

আয়কর ও ব্যবসায়িক পরামর্শ

আয়কর ২০২৫-২৬: আসছে নতুন পরিবর্তন?

আয়ে কেমন প্রভাব? taxhishab.com এর বিশ্লেষণ

taxhishab.com ডেস্ক | জুন ৪, ২০২৫

সম্প্রতি করদাতাদের আলোচনার জন্য অর্থবছর ২০২৫-২৬ এর একটি প্রস্তাবিত আয়কর কাঠামো সামনে এসেছে। এই প্রস্তাবিত কাঠামোতে বর্তমান অর্থবছর (২০২৪-২৫) এর তুলনায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

বিশেষত, সাধারণ ব্যক্তি করদাতার জন্য করমুক্ত আয়ের প্রাথমিক সীমা বিদ্যমান ৩,৫০,০০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে অর্থবছর ২০২৫-২৬ (অ্যাসেসমেন্ট ইয়ার ২০২৬-২৭) এবং তৎপরবর্তী অ্যাসেসমেন্ট ইয়ার ২০২৭-২৮ এর জন্য ৩,৭৫,০০০ টাকা করার একটি প্রস্তাবনা পূর্বে আলোচিত হলেও, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এই সীমা পরবর্তী অর্থবছরের জন্য **অপরিবর্তিত অর্থাৎ ৩,৫০,০০০ টাকা** থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, করযোগ্য আয়ের উপর প্রযোজ্য স্ল্যাবগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই ব্লগ পোস্টে আমরা সাধারণ ব্যক্তি করদাতার জন্য ৩,৫০,০০০ টাকার করমুক্ত সীমা (বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী) এবং প্রস্তাবিত নতুন স্ল্যাব কাঠামোর প্রভাব বিশ্লেষণ করছি।

আয়কর গণনার প্রথম ধাপ হলো করযোগ্য আয় নির্ধারণ করা। এটি সাধারণত মোট আয় থেকে নির্দিষ্ট শ্রেণীর করদাতার জন্য প্রযোজ্য করমুক্ত আয়ের সীমা বাদ দিয়ে গণনা করা হয়। এরপর সেই করযোগ্য আয়ের উপর বিভিন্ন ধাপে নির্ধারিত হারে কর প্রযোজ্য হয়।

taxhishab.com আজকের এই পর্বে প্রথমে বিভিন্ন শ্রেণীর করদাতার জন্য বিদ্যমান ও প্রস্তাবিত করমুক্ত আয়ের সীমার একটি তুলনা তুলে ধরবে এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বিদ্যমান আয়কর কাঠামোর সাথে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত কাঠামোর (সাধারণ ব্যক্তি করদাতার জন্য) একটি তুলনামূলক চিত্র এবং এর সম্ভাব্য প্রভাব বিশ্লেষণ করবে।

বিভিন্ন শ্রেণীর করদাতার জন্য করমুক্ত আয়ের সীমার তুলনা (বিদ্যমান ও প্রস্তাবিত)

আয়কর বিধি অনুযায়ী, বিভিন্ন শ্রেণীর করদাতার জন্য করমুক্ত আয়ের প্রাথমিক সীমা ভিন্ন হয়ে থাকে। নিচে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বিদ্যমান এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত করমুক্ত আয়ের সীমার একটি তুলনামূলক চিত্র দেওয়া হলো (সাধারণ ব্যক্তি করদাতার প্রস্তাবিত সীমা ৩,৫০,০০০ টাকা ধরে):

করদাতার শ্রেণী বিদ্যমান সীমা (টাকা)
(অর্থবছর ২০২৪-২৫)
প্রস্তাবিত সীমা (টাকা)
(অর্থবছর ২০২৫-২৬)
সাধারণ পুরুষ ৩,৫০,০০০ ৩,৫০,০০০
মহিলা এবং ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের নাগরিক ৪,০০,০০০ ৪,২৫,০০০
শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ৪,৭৫,০০০ ৫,০০,০০০
তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি ৪,৭৫,০০০ ৫,০০,০০০
গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ৫,০০,০০০ ৫,২৫,০০০
গেজেটভুক্ত ‘জুলাই ফাইটার্স’ ৫,২৫,০০০

উপরের সারণীতে বিভিন্ন বিশেষ শ্রেণীর করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমার প্রস্তাবিত পরিবর্তন দেখানো হয়েছে। সাধারণ ব্যক্তি করদাতার সীমা অপরিবর্তিত থাকার প্রস্তাব করা হয়েছে, তবে অন্যান্য বিশেষ শ্রেণীর সীমা বৃদ্ধির প্রস্তাব রয়েছে। এই পরিবর্তনগুলি চূড়ান্ত বাজেট ঘোষণার পর নিশ্চিত হবে।

এই ব্লগ পোস্টে পরবর্তী আলোচনা এবং উদাহরণগুলো মূলত **সাধারণ ব্যক্তি করদাতার** (পুরুষ, ৬৫ বছরের নিচে) দৃষ্টিকোণ থেকে করা হয়েছে, যেখানে বিদ্যমান ও প্রস্তাবিত উভয় ক্ষেত্রেই করমুক্ত আয়ের সীমা ৩,৫০,০০০ টাকা ধরা হয়েছে। মূল পরিবর্তন আসছে করযোগ্য আয়ের উপর প্রযোজ্য স্ল্যাবগুলোতে।

করযোগ্য আয়ের উপর প্রযোজ্য আয়কর হার ও ধাপসমূহ (সাধারণ ব্যক্তি করদাতার জন্য)

ক্রমিক বিদ্যমান আয়কর কাঠামো (২০২৪-২৫)
(করযোগ্য আয়ের উপর)
বিদ্যমান করহার (%) প্রস্তাবিত আয়কর কাঠামো (২০২৫-২৬)
(করযোগ্য আয়ের উপর)
প্রস্তাবিত করহার (%)
ধাপ ১ প্রথম ৩,৫০,০০০ টাকা ০% প্রথম ৩,৭৫,০০০ টাকা ০%
ধাপ ২ পরবর্তী ১,০০,০০০ টাকা ৫% পরবর্তী ৩,০০,০০০ টাকা ১০%
ধাপ ৩ পরবর্তী ৪,০০,০০০ টাকা ১০% পরবর্তী ৪,০০,০০০ টাকা ১৫%
ধাপ ৪ পরবর্তী ৫,০০,০০০ টাকা ১৫% পরবর্তী ৫,০০,০০০ টাকা ২০%
ধাপ ৫ পরবর্তী ৫,০০,০০০ টাকা ২০% পরবর্তী ২০,০০,০০০ টাকা ২৫%
ধাপ ৬ পরবর্তী ২০,০০,০০০ টাকা ২৫% অবশিষ্ট আয়ের উপর ৩০%
ধাপ ৭ অবশিষ্ট আয়ের উপর ৩০% - -

*(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই সারণীতে সাধারণ ব্যক্তি করদাতার **করযোগ্য আয়ের** উপর প্রযোজ্য আয়কর ধাপসমূহ দেখানো হয়েছে। ধাপ ১ নির্দেশ করে যে, করযোগ্য আয়ের প্রথম অংশ (বিদ্যমান ৩,৫০,০০০ টাকা বা প্রস্তাবিত ৩,৭৫,০০০ টাকা) ০% হারে করযোগ্য। পরবর্তী ধাপগুলো প্রতিটি ধাপের জন্য উল্লিখিত আয়ের অতিরিক্ত অংশের উপর প্রযোজ্য হয়।)*

প্রস্তাবিত পরিবর্তনের মূল দিকগুলো (সাধারণ ব্যক্তি করদাতার জন্য):

  1. করমুক্ত আয়ের সীমা অপরিবর্তিত: সাধারণ ব্যক্তি করদাতার জন্য 'করমুক্ত আয়ের সীমা' (যা মোট আয় থেকে বাদ দেওয়া হয়) বিদ্যমান ৩,৫০,০০০ টাকাই থাকছে (প্রস্তাবিত)।
  2. করযোগ্য আয়ের প্রথম ধাপের (০% হার) পরিধি বৃদ্ধি: সাধারণ করদাতার করযোগ্য আয়ের প্রথম ৩,৭৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ০% হারে কর প্রযোজ্য হবে (বিদ্যমান ক্ষেত্রে এটি করযোগ্য আয়ের প্রথম ৩,৫০,০০০ টাকা)। অর্থাৎ, করযোগ্য আয়ের উপর ০% হারের সুবিধা ২৫,০০০ টাকা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
  3. ৫% করহার বিলুপ্তি (বিদ্যমান ধাপ ২): বিদ্যমান কাঠামোতে করযোগ্য আয়ের প্রথম ৩,৫০,০০০ টাকার পরবর্তী ১,০০,০০০ টাকার উপর ৫% করহার প্রযোজ্য ছিল। প্রস্তাবিত কাঠামোতে এই ৫% হারটি থাকছে না।
  4. ১০% করহারের স্তরের পরিবর্তন (প্রস্তাবিত ধাপ ২): প্রস্তাবিত কাঠামোতে করযোগ্য আয়ের প্রথম ৩,৭৫,০০০ টাকার পরবর্তী ৩,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর সরাসরি ১০% করহার প্রযোজ্য হবে।
  5. অন্যান্য স্তরের পুনর্বিন্যাস: উপরের সারণীতে বিস্তারিত দেখানো হয়েছে।

প্রস্তাবিত নিয়মে সাধারণ ব্যক্তি করদাতার উপর প্রভাব

নতুন প্রস্তাবিত আয়কর কাঠামো সাধারণ ব্যক্তি করদাতার জন্য কেমন সুবিধা বা পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে, তা নিচে আলোচনা করা হলো (অন্যান্য কর রেয়াত বা সারচার্জ বিবেচনা না করে):

সুবিধা অথবা কর অপরিবর্তিত থাকার ক্ষেত্র:

  • যাদের **মোট বার্ষিক আয়** ৩,৫০,০০১ টাকা থেকে ৩,৭৫,০০০ টাকার মধ্যে, তাদের করযোগ্য আয় (মোট আয় - ৩,৫০,০০০) নতুন নিয়মে করযোগ্য আয়ের প্রথম ৩,৭৫,০০০ টাকার ০% ধাপের মধ্যেই পড়বে। ফলে তাদের প্রদেয় কর ০ টাকা হবে, যা বিদ্যমান নিয়মের সমান।
  • যাদের **মোট বার্ষিক আয়** ৩,৭৫,০০১ টাকা থেকে একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত (প্রায় ৪,৭৫,০০০ টাকা), তাদের প্রদেয় করের পরিমাণ কমতে পারে। কারণ, করযোগ্য আয়ের উপর ০% হারের সুবিধা বিদ্যমান ৩,৫০,০০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩,৭৫,০০০ টাকা হয়েছে।
    • উদাহরণস্বরূপ, মোট আয় ৪,০০,০০০ টাকা হলে: বিদ্যমান নিয়মে করযোগ্য আয় ৫০,০০০ টাকা, যার উপর ০% হারে কর ০ টাকা। প্রস্তাবিত নিয়মে করযোগ্য আয় (৪,০০,০০০ - ৩,৫০,০০০) = ৫০,০০০ টাকা, যার উপর ০% হারে কর ০ টাকা। (এই ক্ষেত্রে সমান)
    • মোট আয় ৪,৬০,০০০ টাকা হলে: বিদ্যমান নিয়মে করযোগ্য আয় ১,১০,০০০ টাকা, যার উপর ০% হারে কর ০ টাকা। প্রস্তাবিত নিয়মে করযোগ্য আয় (৪,৬০,০০০ - ৩,৫০,০০০) = ১,১০,০০০ টাকা, যার উপর ০% হারে কর ০ টাকা। (এই ক্ষেত্রেও সমান)

যাদের করের পরিমাণ বাড়তে পারে:

  • কিছু নির্দিষ্ট মধ্যম থেকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের ক্ষেত্রে, বিশেষত যাদের **মোট বার্ষিক আয় প্রায় ৪,৭৫,০০০ টাকার বেশি** (যেখানে করযোগ্য আয় বিদ্যমান ৫% স্ল্যাব অতিক্রম করে এবং নতুন ১০% স্ল্যাবে প্রবেশ করে), তাদের প্রদেয় করের পরিমাণ পূর্বের তুলনায় **বাড়তে পারে**। এর প্রধান কারণ হলো ৫% করহারের বিলুপ্তি এবং ১০% ও ১৫% করহারের ধাপগুলোর পুনর্বিন্যাস। যদিও করযোগ্য আয়ের উপর ০% হারের সুবিধা ২৫,০০০ টাকা বেড়েছে, ৫% হারের অনুপস্থিতি এবং ১০% হারের দ্রুত প্রয়োগ কিছু ক্ষেত্রে এই সুবিধাটিকে অতিক্রম করতে পারে।
  • উদাহরণস্বরূপ, **বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা মোট আয়ের** ক্ষেত্রে এই প্রভাব দেখা যায়, যা আমরা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করব।

উপরের বিশ্লেষণ থেকে এটি স্পষ্ট যে, প্রস্তাবিত নতুন আয়কর কাঠামোয় সাধারণ ব্যক্তি করদাতার উপর প্রভাব তার মোট আয়ের উপর নির্ভরশীল। নিচের উদাহরণে আমরা ১২ লক্ষ টাকা আয়ের ক্ষেত্রে এর প্রভাব বিস্তারিত দেখব।

উদাহরণ: বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা আয়ে করের তুলনা (সাধারণ ব্যক্তি করদাতা)

ক) বিদ্যমান কাঠামোতে (২০২৪-২৫):

খ) প্রস্তাবিত কাঠামোতে (২০২৫-২৬):

ফলাফলের তুলনামূলক চিত্র (বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা আয়ের ক্ষেত্রে):

আয়কর কাঠামো মোট বার্ষিক আয় প্রদেয় কর
বিদ্যমান (২০২৪-২৫) ১২,০০,০০০ টাকা ৪৫,০০০ টাকা
প্রস্তাবিত (২০২৫-২৬) ১২,০০,০০০ টাকা ৫৬,২৫০ টাকা

এই উদাহরণে দেখা যাচ্ছে, বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা মোট আয়ের ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যক্তি করদাতার প্রদেয় করের পরিমাণ বিদ্যমান ৪৫,০০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে প্রস্তাবিত কাঠামোতে **৫৬,২৫০ টাকা** হয়েছে, অর্থাৎ **১১,২৫০ টাকা বৃদ্ধি**।

সামগ্রিক প্রভাব ও বিবেচ্য বিষয় (সাধারণ ব্যক্তি করদাতার জন্য)

উপরের বিশ্লেষণ এবং উদাহরণ থেকে এটি স্পষ্ট যে, প্রস্তাবিত নতুন আয়কর কাঠামো সাধারণ ব্যক্তি করদাতার উপর নিম্নোক্তভাবে প্রভাব ফেলতে পারে:

শেষ কথা

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত এই আয়কর কাঠামোটি এখনও চূড়ান্ত নয় এবং এটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) ও সরকারের পর্যালোচনার পর পরিবর্তিত হতে পারে। করদাতাদের জন্য যেকোনো পরিবর্তন আসার আগে সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া এবং নিজেদের আর্থিক পরিকল্পনা সেই অনুযায়ী সাজানো উচিত।

বিশ্লেষণ অনুযায়ী, সাধারণ ব্যক্তি করদাতার জন্য প্রস্তাবিত নতুন নিয়মে স্বল্প থেকে মধ্যম আয়ের ক্ষেত্রে করের বোঝা কমতে বা অপরিবর্তিত থাকতে পারে, তবে কিছু উচ্চ-মধ্যম আয়ের ক্ষেত্রে তা কিছুটা বাড়তে পারে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এবং আপনার ব্যক্তিগত পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে সঠিক কর নির্ধারণের জন্য একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া সর্বদা যুক্তিযুক্ত।

taxhishab.com আয়কর সম্পর্কিত সর্বশেষ এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে সর্বদা সচেষ্ট। যেকোনো পরিবর্তন চূড়ান্ত হওয়ার পর আমরা বিস্তারিত বিশ্লেষণ এবং ক্যালকুলেটরসহ আপনাদের পাশে থাকব।

দাবিত্যাগ:

এই ব্লগ পোস্টে প্রদত্ত তথ্য এবং বিশ্লেষণ প্রস্তাবিত ও আলোচনারত কাঠামোর উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি কোনো চূড়ান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত বা আইনগত পরামর্শ নয়। সকল তথ্য শুধুমাত্র সাধারণ অবগতি এবং আলোচনার উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়েছে। চূড়ান্ত তথ্যের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রজ্ঞাপন ও অর্থ আইনের জন্য অপেক্ষা করুন। আপনার ব্যক্তিগত আয়কর সম্পর্কিত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একজন যোগ্য আয়কর পেশাজীবীর সাথে পরামর্শ করুন।